সেখানে কোনো ধরনের মানসিক শান্তি বলতে কিছুই নেই। পুরোপুরি টক্সিক একটি পরিবেশ।

Bdtask Ltd

Negative

১। পুরো কোম্পানিতে মাত্র একজন প্রজেক্ট ম্যানেজার, আগে যিনি ছিলেন তাকে এই বলে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে যে:
  – আপনি ডেভেলপারদের কে মুখের উপর কিছু বলে থামাতে পারেন না ?, তারা তাদের চাওয়া নিয়ে আমাদের কাছে আসে কিভাবে ...!

২। দিনে ১০–১৫ বার মালিক ডেভেলপার রুমে আসবে এবং আপনার পিছনে দাঁড়িয়ে থাকবে – কে কী করছে সেটা দেখার জন্য

৩। কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা নেই, আর যেগুলো আগে ছিল সেগুলোও ধীরে ধীরে বন্ধ করে দিচ্ছে।

৪। তাদের কাছে বিন্দুমাত্র টেকনোলজির জ্ঞান নেই। কে কী কাজ করবে, তারও কোনো ধারণা নেই

৫। আর বেতন! আপনি যদি একটু অভিজ্ঞ হন, তাহলে শুনবেন: "এত তারাতারি এত বেতন দিয়ে কী করবেন?"

৬। শেষ কয়েক মাস ধরে সময়মতো বেতন দিতে পারছে না। অথচ তারা বলে, তাদের নাকি মাসের ব্যাকআপ রেডি আছে

৭। ম্যানেজমেন্টের লোকজন বাইরে থেকে জুতা পরে সরাসরি ভেতরে ঢুকে পড়ে, যেখানে ডেভেলপাররা খালি পায়ে হাঁটে

৮। ইনক্রিমেন্ট হয় বেসিকের ১০%, সর্বোচ্চ হাজার টাকা। কারণ, "আপনি তো সারাদিন বসে থাকেন, কিছুই করেন না।"

৯। দু-একজন গোয়েন্দা নিয়োগ দিয়েছে – কে কী করছে দেখার জন্য। এবং ম্যানেজমেন্টকে জানানোর জন্য

১০। অফিসে LinkedIn, Quora এমনকি সব লার্নিং সাইট নিউজ সাইট আইপি থেকে ব্লক করে রাখা হয়েছে। কারণ, "আপনাকে শেখার জন্য বেতন দেওয়া হয় না।"

১১। আপনি একটু বিশ্রামের দরকার হলেও যেতে পারবেন না অথবা ব্রেক নিতে পারবেন না ফিঙ্গারপ্রিন্ট ছাড়া যেখানে সরকারী নিয়মে প্রতি ৮ ঘন্টায় ৩০ মিনিট ব্রেক এর কথা বলা আছে । কারণ, "চীন আর আমেরিকার জায়ান্ট কোম্পানিগুলোও তো কাজের দিকেই বেশি ফোকাস করে, তারা সারাদিন রেস্ট করলে এত বড় হতে পারতো না ।"

১২। নামাজ কিংবা অন্য কোনো প্রার্থনার জন্যও যেতে হলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে যেতে হবে। কারণ, "নামাজের জন্য তো আপনাকে পেমেন্ট দেওয়া হয় না।" এদিকে মালিক নিজে মুসলমান, কিন্তু কখনো নামাজ পড়তে দেখা যায় না।

১৩। সব সময় মাসের নোটিশ পিরিয়ড; শুধু দুই ঈদের আগে সেটা মাস, আর কখনো কখনো একই দিনেই আপনার শেষ দিন ঘোষণা করবে – যাতে বোনাস না দিতে হয়

১৪। আপনাকে শুনতে হবে: "আপনি ফাঁকিবাজ, কারণ আপনি সুযোগ পেয়ে মাথায় উঠেছেন।" অথচ আপনি ওই সপ্তাহেই জয়েন করেছেন।

১৫। রোজার মাসের মত বরকতের মাসেও শেষ দিনে আপনাকে শুনতে হবে: "এই মাস আসলেই আমার লস শুরু হয়ে যায়। আপনাদের বোনাস, স্যালারি – কিন্তু আপনারা কোনো কাজ করেন না। শুধু আসেন আর চলে যান।"

১৬। যদি বস্তি এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকার ঘোষণা আসে, তাহলে রাত ৭–৮টার পর টেলিগ্রামে মেসেজ আসবে: "কালকের অফিস দুপুর ১টা থেকে রাত ১০টা।"

১৭। কোনো সপ্তাহে সরকারী ছুটি পড়লে এবং ওই সপ্তাহে দিনের কম ওয়ার্কিং ডে হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে – ওই সরকারী ছুটির বদলে পরের কোনো শনিবার অফিস নিতে হবে। কারণ "একসাথে এতদিন ছুটি দিলে কোম্পানি চলবে কিভাবে", উল্লেখ্য , "এক সপ্তাহে একবার শনিবার ছুটি, আরেক শনিবার অফিস।"
আর বলবে:
  – "বাবুরে সরকার কি টাকা দেয় আমাকে, যে তাদের কথা মতো ছুটি দিতে থাকব?"

১৮। আপনি চাইলেই ছুটি নিতে পারবেন না। কারণ, "আমাদের ইচ্ছা। মন চাইলে দেব, না চাইলে আপনার টাকা কাটা যাবে। আপনার কেউ মারা গেলেও আমাদের কিছু যায় আসে না।"

১৯। যদিও বলা আছে "স্যালারি ৭-১০ তারিখের মধ্যে হবে", সেটা এখন ১৫ তারিখ পেরিয়ে ২০-২২ তারিখে গিয়ে ঠেকেছে

২০। সিক লিভ মাসে মাসে একটা করে আনলক হবে, সুতরাং আপনি জানুয়ারি তে ১ দিনের বেশি ও ফেব্রুয়ারি ২ দিনের বেশি অসুস্থ হতে পারবেন না, কারণ আপনার উচিৎ ছিল অসুস্থতাকে বলা "যে তুমি মাস হিসাব করে যতদিন হয় এর থেকে বেশি আমার কাছে আসতে পারবে না।" , একই হিসাব ক্যাজুয়াল ছুটিতেও।

২১। পুরাতন HR চলে যাওয়ার পর HR পদের জন্য তারা কোন লোক খুঁজে না পেয়ে অবশেষে সাইবার সিকিউরিটির লোক কে সেখানে বসিয়ে, ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়েছে, এসেই 

২২। সব কিছুর শেষ কথা:
  – "আমরা আপনাকে টাকা দিই। আমরা যা বলব, আপনাকে তাই করতে হবে, টু শব্দ করা যাবে না"

0 0